মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করে তাদের অসংখ্য-অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। পৃথিবীর সব মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেও সেসব নেয়ামত গণনা করে শেষ করা যাবে না। নেয়ামতের কথা চিন্তা করলে প্রত্যেক ব্যক্তি প্রথমে নিজের দেহের কথাই ভাবতে পারে। রাব্বুল আলামিন মানুষের দেহে যে প্রাণসঞ্চার করেছেন সেটিও বড় একটি নেয়ামত।
দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, শিরা-উপশিরায় নেয়ামত আর নেয়ামত। মানুষের আপাদমস্তক পুরোটাই মহান রবের মহানেয়ামতে ভরপুর। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর খোদ তোমাদের অস্তিত্বেও কত নেয়ামত! তবু কি তোমরা অনুধাবন করতে পার না?’ (সুরা যারিয়াত : ২১)। এভাবে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে অসংখ্য-অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। এমন অনেক নেয়ামত রয়েছে, যে নেয়ামতের কথা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
সেই ঘোষণাও আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন পবিত্র কুরআনে। বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা কি লক্ষ করোনি, আকাশম-লী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, আল্লাহ তায়ালা সেগুলোকে তোমাদের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন এবং তিনি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামত তোমাদের প্রতি পরিপূর্ণভাবে বর্ষণ করেছেন? তথাপি মানুষের মধ্যে কতক এমন রয়েছে, যারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়, অথচ তাদের কাছে না আছে কোনো জ্ঞান, না কোনো হেদায়েত, আর না কোনো দীপ্তিমান কিতাব, (যা তাদেরকে বিভ্রান্তির অন্ধকারে কোনোরূপ আলো দেখাতে পারে)।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ২০)
পবিত্র কুরআনের বিশাল অংশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মহান আল্লাহর নানাবিধ নেয়ামতের বিস্তারিত বিবরণ। আল্লাহর দেওয়া এসব নেয়ামতের প্রকৃত সংখ্যা জীবনভর গণনা কিংবা চিন্তা গবেষণা করেও বের করা সম্ভব নয়।